আজ || শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম :
  তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমারের সমর্থনে বিশাল পথসভা অনুষ্ঠিত       তালা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ॥ প্রতীক পেয়েই প্রচার শুরু       তালায় খাদ্য নিরাপত্তায় ঝুঁকি ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ       তালায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের মাঝে হাঁসের বাচ্চা বিতরণ       তালায় জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে প্রতিযোগিতা       তালায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপনের উদ্বোধন       তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমারের সমর্থনে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত       তালায় অসুস্থ বন্ধুর জন্য ৩০ হাজার টাকা দিলেন বন্ধুরা       তালায় তিন দিনব্যাপী কৃষি মেলার সমাপনী       সাতক্ষীরায় বৈদ্যুতিক খুটিতে ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত    
 


কোটি কোটি টাকা রাজস্ব দেয়া আশাশুনি সাব রেজিস্টার অফিসের নেই কোন নিজস্ব ভবন

# ভাড়াটিয়া ভবনে কেটে যাচ্ছে বছরের পর পর।
# অরক্ষিত অবস্থায় সরকারি ও জনসাধারণের মূল্যবান ডকুমেন্টস।


সরকারি কোষাগারে বছরে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব জমার উৎস হিসাবে কাজ করে যাওয়া প্রতিষ্ঠানটির নেই কোন নিজস্ব ভবন। ভাড়াটিয়া হয়েই বছরের পর বছর কেটে যাচ্ছে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার সাব-রেজিস্টার অফিসের যাবতীয় কার্যক্রম। ভাড়াটিয়া ভবনের কারনে জনগণ ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সব ডকুমেন্টস আছে অনেকটাই অরক্ষিত অবস্থায়। সমাধানে দ্রুত স্থায়ী ভবন নির্মাণে বিকল্প নেই বলে দাবী সাব রেজিস্টার অফিসের কর্মকর্তা সহ এলাকাবাসীর।

দেশের প্রতিটি উপজেলার মত সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার সাব-রেজিস্টার অফিসটি সরকারি রাজস্ব আয়ের অন্যতম একটা খাত হলেও অনেকটাই রয়ে গেছে অবহেলিত। পাকিস্তান আমলের গোড়াপত্তনের কিছুকাল পরেই গড়ে ওঠা এই সাব রেজিস্টার অফিসটির নেই কোন নিজস্ব ভবন। বিভিন্ন সময় উপজেলা সদরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে একসময় উপজেলা পরিষদের পুরাতন কমপ্লেক্স ভবনের দুটি ছোট রুমে ঠাই মেলে আশাশুনি সাব রেজিস্টার অফিসের। কিন্তু ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়নি বেশি দিন, আজ থেকে অর্ধ যুগ আগে উপজেলা পরিষদের সে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলে উপজেলার মানিকখালী খেয়া ঘাট রোডের পাশে একটা ভাড়া বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে ঠাই মেলে আশাশুনি সাব রেজিস্টার অফিসের। সরেজমিনে দেখা যায় একটি হল রুম আর ছোট ছোট কয়েকটি রুম নিয়ে জোড়াতালি দিয়ে কোন মতে দায় সারা অবস্থায় চলছে রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম। দলিলের মূল্যবান কাগজ পত্র সংরক্ষণের জন্য বরাদ্দ কৃত ঘরটি এত ছোট যে বালাম বই গুলো অনেক সময় রাখতে হয় বিভিন্ন আলমারি বা চেয়ারের উপর কখনো আমার মেঝেতে।

অন্যদিকে রাস্তায় পাশে নির্মিত ভাড়া বাড়িতে নেই কোন বাড়তি শেড বা ছাউনি। দুর দুরন্ত থেকে দলিল রেজিষ্ট্রি করতে আসার জনসাধারণ কে পড়তে নানা বিড়ম্বনায়। কখনো রোদ আবার কখনো বৃষ্টি কবলে পড়তে হয় তাদের অথচ এই জনগণের কাছ থেকে আসে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। আশাশুনি সাব-রেজিস্টার অফিসের হিসাব মতে গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত এই অফিস থেকে সরকারি কোষাগারে রাজস্ব আয় হয়েছে ৫ কোটি ৮ লাখ ৯১ হাজার ১শত ৮৫ টাকা ৫০ পয়সা।

অপর দিকে সন্ধ্যা হতেই সাব রেজিস্টার অফিসের এই রাস্তাটিতে নেমে আসে ভুতুড়ে অন্ধকার। সচারাচর লোকজন চলাচল থাকে না বললেই চলে। সব মিলিয়ে গাছমছমে পরিবেশে একজন নৈশ্য প্রহরী একার কাছে অনেকটাই অরক্ষিত অবস্থায় থাকে আশাশুনি সাব-রেজিস্টার অফিস। যেখানে কত টুকু সংরক্ষিত থাকবে এই উপজেলা বাসীর মূল্যবান সব দলিল পত্র এমন প্রশ্ন রেখে দ্রুত আশাশুনিতে সাব রেজিস্টার অফিসের জন্য একটি স্থায়ী বহুতল ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এবিষয়ে সাব রেজিস্টার অফিসের প্রধান সহকারী প্রভাষ কুমার মন্ডল বলেন,আমাদের একটা নিরাপদ রেজিস্ট্রি অফিস খুবই প্রয়োজন। সুরক্ষিত ভবন না থাকায় সরকার ও জনগনের ডকুমেন্টস গুলো অনেকটাই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

অপরদিকে ভাড়াটিয়া ভবন আর অরক্ষিত ডকুমেন্টস নিয়ে শংকা প্রকাশ করে আশাশুনি রেজিস্ট্রী অফিসে দায়িত্বরত সাব রেজিস্টার কাজী নজরুল ইসলাম বলেন-আমি বহু অফিসে দায়িত্ব পালন করেছি কিন্তু এমন অফিস আমার নজরে এটাই প্রথম। আমি যোগদান করার একমাসের মধ্যে উর্দ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্থায়ী ভবন নির্মাণের আবেদন জানিয়ে পত্র প্রেরণ করেছি। রাজস্ব আয়ের খাত ও সরকারি কাগজ পত্র নিরাপদ রাখতে এখানে একটা ভবন দ্রুত বরাদ্দ করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।


Top